আ হ জুবেদঃ বৈশাখ আসে মন রাঙ্গাতে, আপন পরকে ভুলিয়ে দিতে প্রাণ ঝাকানো নৃত্য-গীতে নতুন বছর সুখেরই হোক কাছের দুরে সবার তরে, দেশ প্রবাসে সবার জীবনে নতুন সালে সুখ-আনন্দে উঠুক ভরে। এ ধারণাকে বুকে ধারণ করে বাংলাদেশের পাশাপাশি বৈশাখ বরণে যেন পিছিয়ে নেই কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও।
প্রবাসে বাঙ্গালী সংস্কৃতি তুল ধরতে বিপুল উৎসাহ উদ্দিপনার মধ্যদিয়ে কুয়েতের রিগাই পার্কে গতকাল বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পালিত হয়েছে।
বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি নবান্ন উৎসব ১৪২৫ বাংলাদেশের ন্যায় প্রবাসেও পালিত হচ্ছে।
এবার পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব ”ফ্যামিলি বন্ধন, কুয়েত” সংগঠনের উদ্যোগে দেশটির রিগাই পার্কে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে উদযাপন করা হয়েছে।
বাংলার হাজার বছরের এ সংস্কৃতি,কৃষ্টি চর্চায় ও আয়োজনে যেমন ব্যস্ত দেশ প্রেমিক বাংলাদেশীরা, ঠিক তেমনই এসব উৎসব, আয়োজনে প্রবাসী দেশ প্রেমিকদেরও ব্যস্ততার শেষ নেই।
মিসেস সামসুন্নাহার বিথীর পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য উপস্থিত পরিবার গুলোর মধ্যে ছিল, ইমাম উদ্দিন বাদল এর পরিবার, এম.এ.মান্নান বাবু এর পরিবার, কাজী শামছুল আলম,ফয়েজ কামাল এর পরিবার,বাহার আহমেদের পরিবার সহ বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবে প্রায় ৫২টি কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবার অংশগ্রহণ করেছিল।
প্রবাসে যেকোনো আয়োজনে বাংলাদেশীদের সমাগম, উৎসব মানে এক টুকরো প্রস্ফুটিত বাংলাদেশ।
তেমনই কুয়েতের রিগাই পার্কে পহেলা বৈশাখের নানা আয়োজনে মুগ্ধ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা এবং উক্ত স্বদেশ সংস্কৃতির উৎসবস্থল-ও রূপ নিয়েছিল এক টুকরো বাংলাদেশে।
পান্তা ইলিশ আর হরেক রকমের বাহারি পিঠা নিয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারের গৃহিণীরা।
মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের অংশগ্রহণে ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা এবং পুরস্কার বিতরণী।
পহেলা বৈশাখের আয়োজক ও অংশগ্রহণ কারীরা বলেন, প্রবাস মানে ব্যস্ততা, হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আমরা চেষ্টা করি স্বদেশ কৃষ্টি বিদেশের মাটিতে শক্ত হাতে ধরে রাখতে।
তাঁরা বলেন, পহেলা বৈশাখের মতো একটি বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসবে অন্তত ষোলোআনা বাঙ্গালী হওয়ার চেষ্টা করি আমরা।
এভাবেই বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বছরের পর বছর প্রবাসে উদযাপন হোক, স্বদেশ কৃষ্টি বিদেশের মাটিতে চর্চা হোক এবং বিশ্বকে বাংলার সংস্কৃতি জানান দিতে বাঙ্গালীরা কাজ করুক, এটাই প্রত্যাশা করেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।